আসুন চিনে নিই গুগলের কারিগর কে

সবাইকে আমার আন্তরিক ভালবাসা. আশা করি সবাই ভালো আছেন. তো আজ শুনুন গুগল আর সার্গেই ব্রিন আর গল্প. ভালো লাগলে একটা কমেন্ট করতে ভুলবেন না যেন…….
বিশ্বের প্রথম সারির সার্চ ইঞ্জিন গুগলের নাম কে না জানে. এই গুগলের পেছনে যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন এই সার্গেই ব্রিন.
সার্গেই ব্রিনের জন্ম রাশিয়ার মস্কো শহরের এক ইহুদি পরিবারে. মাত্র ছয় বছর বয়সে পুরো পরিবার আমেরিকায় চলে আসে. সার্গেই ব্রিনের বাবা ছিলেন একজন গনিতবিধ এবং প্রকৌশল. যিনি মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন.
sargai brin 150x150 আসুন চিনে  নিই  গুগলের কারিগর কে Google 150x150 আসুন চিনে  নিই  গুগলের কারিগর কে


মজার ব্যাপার হলো ব্রিনের মা ইউজেনিয়া ব্রিন ও ছিলেন একজন গনিতবিধ এবং প্রকৌশলী. যিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসাতে কর্মরত. এরকম বাবা-মায়ের সন্তান যে দারুন কোনো কাজ করবে, তাতো খুবই স্বাভাবিক.
ছোটবেলা থেকেই ব্রিনের ছিল কম্পিউটারের প্রতি প্রবল আকর্ষণ. ৯ বছর বয়সে তার বাবা তাকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে দিলেন কমডোর-৬৪ নামের একটি কম্পিউটার. গণিত এবং কম্পিউটার বিষয়ে তার প্রতিভা ইস্কুলের প্রথম দিন গুলোতেই প্রকাশ পেতে লাগলো.
১৯৯০ সালে ইলেনর রুজভেল্ট হাই ইস্কুল থেকে পাশ করে ভর্তি হলেন মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগে. ১৯৯৩ সালে অত্যন্ত ভালো ফলাফলের সাথে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন হলে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেসনের ফেলোশিপ নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশুনার জন্য ভর্তি হলেন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় স্টানফোর্ডে.
১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে তিনি তার স্নাতকোত্তর পড়াশুনা শেষ করেন এবং যথারীতি পিএইচডির জন্য ভর্তি হলেন. কিন্তু আজ অবধি তার গবেষণা শেষ না হবার এবং গুগল কোম্পানিতে তার বিস্তৃত কর্ম পরিধির জন্য ডক্টরেট ডেগ্রী পাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না. তবে যাই হোক এম্প্রেশা ইনস্টিটিউট তাকে একটি অনাররি এমবিএ ডিগ্রী সম্মানিত করে.
স্টানফোর্ড কম্পিউটার সাইন্স ডিপার্টমেন্ট – গেইটস ভবন (বিল গেইটস এর নামে) এখানে পিএইচডি শেষ না করেই চলে আসেন সার্গেই ব্রিন.
সার্গেই যখন স্টানফোর্ডে পরেছিলেন, তখনি ইন্টারনেটের প্রতি তার আকর্ষণ বাড়তে থাকে. ডাটা – মাইনিং এবং প্যাটার্ন – এক্সট্রাকসনের উপর তিনি একাধিক পেপার লিখে ফেলেন. এর পাশাপাশি তিনি একটি সফটওয়ার তৈরী করেন যা টেক্স ফরম্যাট লেখা বৈজ্ঞানিক গবেষণা ওয়েব পেইজে রূপান্তর করতে পারে.
গুললের লোগো – জটিল ডিজাইন না জানার কারণে সহজ করেই তৈরী করা হয় এটি, যা পরে ব্রান্ডের সমান জনপ্রিয়তা পায়.
সার্গেইর জীবনের একটি অন্যতম মুহূর্ত হলো যখন তিনি গুগলের সহ প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের সন্নিদ্ধ্যে এলেন. তাদের দুজনের আগ্রহের মাঝে মিল ছিল অনেক এবং তারা খুব শীঘ্রই লিখে ফেলেন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পেপার যার নাম যার নাম ছিল – “দি এনাটমি অফ এ লার্জ – এস্কেল হাইপার টেএক্সুআল ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন”. এই পেপারটি আজও স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয়তম একটি প্রকাশনা.
মাত্র ৩২ বছর বয়সে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে, নিজের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি (ল্যারি পেজের সাথে) গুগলে কাজ করে ১২.৯ বিলিয়ন ডলারের সমমূল্যের সম্পদের অধিকারী এখন এই সার্গেই ব্রিন. ১৯৯৪ সালে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় স্টানফোর্ডের পড়াশুনা বাদ দিয়ে ল্যারি পেজের সাথে এক বন্ধুর গ্যারেজে গড়ে তোলেন গুগল কম্পানির সার্ভার. আর মাত্র এক দশকে গুগল হলো সার্চ ইঞ্জিনের প্রতিশব্দ. সময়ের সাথে সাথে নিত্য নতুন পণ্য ও সেবা যোগ করে গুগল প্রতিনিয়ত নিজেদের আকার ও উপযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে.
১০ কে ১০০ তা ১০ দিয়ে গুন করলে – এই সংখ্যা টা কে বলে গুগল. এখান থেকেই গুগল নামটি এলো.
মাইক্রোসফট সহ বিশ্বের অনেক বড় কোম্পানিই গুগলকে কিনে নিতে চেয়েছিল. কিন্তু কারো চাপের মুখেই মাথা নত করেননি প্রতিভাবান সার্গেই ব্রিন এবং তার বন্ধু ল্যারি পেজ.
গণিতের সাথে রয়েছে গুগলের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক. তাইতো বিশ্বের সেরা প্রোগ্রামাররা গুগলে কাজ করাটাকে সম্মানের প্রতীক বলে মনে করে.
Share this article :
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Support : Creating Website | Johny Template | Mas Template
Copyright © 2011. Incomonline |World's First, The Largest and Most Popular Bangla Technology Social Media... - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Mas Template
Proudly powered by Blogger